অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরান ইয়েমেনের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপাদান পাঠিয়েছে বলে আমেরিকা যে দাবি করেছে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের এ সংক্রান্ত দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মঙ্গলবার মার্কিন নৌবাহিনী বলেছিল, তারা তাদের ভাষায় ইরান থেকে ইয়েমেনগামী একটি জাহাজে সারের ব্যাগের মধ্যে লুকানো ৭০ টন ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানি উপাদান খুঁজে পেয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনী দাবি করেছে, “যে পরিমাণ অ্যামোনিয়াম পার ক্লোরেট আবিষ্কৃত হয়েছে তা ১২টিরও বেশি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এ ধরনের অস্ত্র ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট উভয়কে সমর্থন করা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহার করেছে।”
জাতিসংঘের ইরান মিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইয়েমেন সংক্রান্ত প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে- এমন প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেনি। জাতিসংঘের একটি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার অধীনে ২০১৪ সাল থেকে হুথিদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ হুথি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাশবিক হামলা পরিচালনাকারী সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে এরকম কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বরং উল্টো ইয়েমেনে হামলা চালানোর জন্য পশ্চিমা দেশগুলো রিয়াদকে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের ইরান মিশন বলেছে, ইয়েমেনে অস্ত্র পাঠানোর ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ২২১৬ নম্বর প্রস্তাব তেহরান কঠোরভাবে মেনে চলছে। কাজেই ওই প্রস্তাব লঙ্ঘন করার ব্যাপারে ইরানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যত অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটিই প্রমাণ করা যায়নি। এটি আরো বলেছে, ইয়েমেনের চলমান যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী রূপ দিয়ে দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে ইরান।
Leave a Reply